এনবি নিউজ : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলা করা হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে গতকাল বুধবার রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাব।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১-এর নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাছা থানায় বিতর্কিত বক্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে আজ সকালে তাঁকে হাজির করা হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল বুধবার এনবি নিউজকে বলেছিলেন, ‘বুধবার (গতকাল) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করা হয়।’
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম মাদানী নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এতে জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে।’
র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘শিশুবক্তার এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।’
নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে জনপ্রিয়। বয়সে যুবক হলেও শারীরিক গঠনের কারণে লোকজন তাঁকে ‘শিশুবক্তা’ বলে অভিহিত করে থাকেন। যদিও এই নাম নিয়ে তিনি নিজেও অনেক সময় আপত্তি করেছেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।