• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

ঢাকায় আইসিইউ শয্যা কমে আসছে

Avatar
সেন্ট্রাল ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ১ জন

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সাধারণ শয্যা, আইসিইউ ইতিমধ্যে রোগীতে পূর্ণ। শয্যাসংখ্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না। সকালে ৪০ জন রোগী ছাড়া পেলে দেখা যায়, বিকেল নাগাদ আরও ৮০ জন রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তির অপেক্ষায়। আগস্টে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গতকাল সকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার খুরশীদ আলম। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না, তা এখন বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তেমন ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে। তবে আরও কিছুদিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে।’

ঈদের ছুটির সময়ে দেশে করোনা পরীক্ষা কম হয়েছে। রোগী শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনগুলোর চেয়ে কম হয়েছে। মৃত্যুও কিছুটা কমেছে। তবে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল পর্যন্ত চার দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭২৬ জনের। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ হাজার ২৫৪ জনের। এই সময় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩০ শতাংশের মতো। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত) মোট ২০ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৩৬৪ জন। করোনায় মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে কমলেও শনাক্ত রোগী প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৮৫১ জনের। করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রভাব কতটুকু, তা বোঝা যায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পর থেকে। সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে শুরু করলে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। কিন্তু সংক্রমণচিত্রে কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। এরই মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঈদ সামনে রেখে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। গতকাল থেকে আবার ১৪ দিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।

করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম  বলেন, এখনো সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ থাকছে। ঈদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, হাটে লোক সমাগমের প্রভাব আরও দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণে দেখা যাবে। বিধিনিষেধে যান চলাচল বন্ধ থাকছে, কিন্তু স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেই। স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই বিধিনিষেধ শেষেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:০০ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!