এ জে তপন : আগামী বছরের শুরুতে দেশে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় টিকা নিয়ে এমন সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
সরকারের হাতে বর্তমানে ১ কোটি ডোজের বেশি টিকা রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আগামী মাসের মধ্যেই আরও ২ কোটি ডোজ টিকা দেশে চলে আসবে।
ইতিমধ্যে দুই ডোজ মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ডোজ টিকা।
এসব মিলিয়েই ২১ কোটি ডোজ টিকার কতটা কোথা থেকে পাওয়া যাবে সে তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, চীন থেকে ৩ কোটি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, ৭ কোটি ডোজ কোভ্যাক্স থেকে, ১ কোটি রাশিয়ার, জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ মিলিয়ে মোট প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এভাবেই আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ২১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি আগামী বছরের প্রথমদিকে এসব টিকা আমরা হাতে পাব।
“এসব টিকা পেলে দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া যাবে। যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাই তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশ থেকে পিছিয়ে থাকবে না।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালান আসা বন্ধ হলে দেশে টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
এক পর্যায়ে প্রথমে প্রথম ডোজ এবং পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ করা হয়।
পরে চীনের সিনোফার্ম এবং টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারসহ মর্ডানার টিকা পাওয়া গেলে দুই মাসের বেশি সময় পর ১ জুলাই থেকে আবার টিকাদান শুরু হয়।
চলতি মাসে বেশ কিছু চালানে টিকা এসেছে। শনিবারও কোভ্যাক্স থেকে জাপানের উপহার হিসেবে দুই লাখ ৪৫ হাজার ডোজ কোভিশিল্ডের টিকা এসেছে ঢাকায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ এর প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫০ হাজার ২১৭ জন। এছাড়া ১৩৮ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৬২৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি টিকার ৩ লাখ ৬ হাজার ১২৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া এখনও শুরু হয়নি।