এনবি নিউজ : এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৫ জন রোগী। এটি চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড।
এ নিয়ে এখন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫২৭ জনে।
ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিতে কয়েকটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আজ রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই হাসপাতালের বারান্দায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেকেই হাসপাতালে এসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হাসপাতাল ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিচ্ছি।
তবে এজন্য কয়টি হাসপাতাল সুনির্দিষ্ট করা হবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানাননি তিনি।
দেশে এডিসবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বাড়ছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাবকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে না বা যারা খুব দুর্বল হয়ে পড়ছেন না, তারা পরীক্ষাও করাতে যাচ্ছেন না। ফলে অনেক রোগী থেকে যাচ্ছেন শনাক্তের বাইরে। এছাড়া এখানে শুধু হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়। কিন্তু কতজন পরীক্ষা করে পজিটিভ হয়েছেন, অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা জানানো হচ্ছে না।
এছাড়া ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, কোভিড চিকিৎসা দিয়ে থাকেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। দেশের ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালগুলোর মেডিসিন ওয়ার্ড কোভিড ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে।
এমনকি অনেক হাসপাতাল পুরোপুরি কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। সব চিকিৎসক কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত। এই মুহূর্তে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
এ টি