ভাইরাসের অতি বিস্তার রোধে ঈদের পর থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে দেশ, যা আগের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে।
চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার পাঁচ দিন আগেও প্রতিদিন কোভিড সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি।
এমন প্রেক্ষাপটে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কথা বলবে। আমরা বলেছি লকডাউন কন্টিনিউ করতে। “আমাদের কনসার্ন সবসময়ই আছে এটাকে (চলাচল) সীমিত রাখা। অতি জরুরি সেবা চালু রাখতে হবে, তবে সেগুলোকে কঠোর মনিটর করা। সব খুলে দিলে সংক্রমণ বাড়বেই তাতে কোনো সন্দেহ নাই।”
ঈদের পর এবারের লকডাউন কোনোভাবে শিথিল করা হবে না সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও শিল্প কারখানা মালিকদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে শুক্রবার বিকালে এক প্রজ্ঞাপনে ১ অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে খুরশীদ আলম বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অন্তত ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ রেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছিল।
“শিল্প কারখানা খুলে দিলে গ্রাম থেকে শ্রমিকরা আসবে। গ্রামেও এখন সংক্রমণ অনেক বেশি। তারা আসবে এবং সংক্রমণ ছড়াবেই। ঢাকায় এখন হাসপাতালে সিট ফাঁকা নেই। আরও ক্রাইসিস হবেই, আপনারাই তখন বলবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু করে নাই।”
করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরে এখনই সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পার করছে বাংলাদেশে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে।
৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।