এনবি নিউজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের হাসপাতালগুলো আর রোগীর চাপ নিতে পারছে না।
আজ শনিবার কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই মাসের তুলনায় সাত গুণ রোগী বেড়েছে। চিকিৎসকরা কাজ করছে, আমরা টিকার কাজ করছি, ফিল্ড হাসপাতাল আমরা বাড়িয়ে চলছি, বেড বাড়িয়ে চলছি, কিন্তু তারও একটা সীমা আছে। কতটুকু আর করা যেতে পারে, এ প্রশ্নও রাখেন মন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ কমাতে জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভাইয়েরা এখন সময় এসেছে করোনা রোগী কমানোর। করোনা রোগী কমানোর। হাসপাতালের বেড বাড়ানো নয়, রোগী কমানোর সময় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার কোভিড বেডের মধ্যে এক হাজার বেডও খালি নেই। এই অবস্থায় আমরা আছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কিন্তু হাসপাতালে হয় না, ক্লিনিকে হয় না। সংক্রমণ কোথায় হচ্ছে আপনারা জানেন। রাস্তাঘাটে হচ্ছে, দোকানপাটে হচ্ছে, ফেরিতে হচ্ছে, ফ্যাক্টরিতে হচ্ছে, গ্রামে-গঞ্জে হচ্ছে। চিকিৎসক-নার্সরা তো আর বাস কনট্রোল করতে পারবে না, ফেরি কনট্রোল করতে পারবে না, ফ্যাক্টরি কনট্রোল করতে পারবে না।
এদিন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেশন হলে কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে।এতে ৪০০ সাধারণ শয্যা ও ৪০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
জাহিদ মালেক জানান, ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ৮০০ আইসিউ শয্যা। আর বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৫০০ আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সারা দেশে ১৭ হাজার শয্যা এখন কোভিড রোগীদের জন্য।আমাদেরকে নন-কোভিড চিকিৎসাও বজায় রাখতে হচ্ছে। নন-কোভিড রোগীই ৮০ ভাগ। পাশাপাশি ডেঙ্গি এসে ঘাড়ে বসেছে।
করোনায় এখন নারীদের আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।বলেন, আগে নারীদের মৃত্যু ও আক্রান্ত প্রায় ২০ থেকে ২৫ ভাগ ছিল। এটা এখন প্রায় ৪৫ ভাগ হয়েছে। নারীদের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কেন বাড়ছে, এটা আমাদের খেয়াল করতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এ টি