এনবি নিউজ : এতদিন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে গাড়ি সংযোজন চালিয়ে আসা মিতসুবিশি মটরস এবার বাংলাদেশে কারখানা বসাতে চাইছে।
বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণ কারখানা স্থাপন কতটা লাভজনক হবে, তা যাচাই করতে ৫ বছরব্যাপী সমীক্ষায় হাত দিয়েছে জাপানের গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
এজন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইস্পাত শিল্প কর্পোরেশন (বিএসইসির) সঙ্গে মিতসুবিশির একটি সমঝোতা স্মারক বৃহস্পতিবার সই হয়েছে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শহীদুল হক ভূঁইয়া ও মিতসুবিশির ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য/আফ্রিকা/দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কুরাহাশি মাসাতসুগু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।
প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারিগরি সহযোগিতায় ১৯৭৭ সাল থেকেই বিভিন্ন মডেলের পাজেরো, জিপের সিকেডি এনে তা সংযোজন করাত মিতসুবিশি। এছাড়াও প্রগতিতে নিশান ও ইসুজুসহ ভারত, চীন, কোরিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ির সিকেডি আমদানির পর সংযোজন করত।
বর্তমানে মিতসুবিশির পাজেরো স্পোর্ট (কিউএক্স) জিপ সংযোজন চলছে প্রগতিতে।
মহামারীর মধ্যে এখন বাংলাদেশে নতুন গাড়ির চাহিদা কিছুটা কম। আর এদেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বিক্রিই বেশি।
কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বৃহস্পতিবার সিএসইসি ও মিতসুবশি মটরসের সমঝোতা স্মারক সই হয়। ছবি: পিআইডি
তবে জাপানের অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদপত্র নিকাই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙা হওয়ার প্রেক্ষাপটে এখানে যে ব্যক্তিগত গাড়ির চাহিদা বাড়ছে, সেই বিষয়টি মাথায় নিয়েই কারখানা স্থাপনের সমীক্ষা শুরু করছে মিতসুবিশি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিতসুবিশি মটরস কর্পোরেশন বাংলাদেশে মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের যানবাহন উৎপাদন ও সংযোজনের জন্য যৌথ উদ্যোগে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
২০২৫ সালের মধ্যে ‘বাংলা কার’ ব্র্যান্ড চালুর আশা ব্যক্ত করে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, “দেশকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের সরকার শিল্পায়ন ও শিল্পের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শিল্প বিনিয়োগের সুবিধার্থে সব প্রকার সহায়তা করছি।”
বর্তমানে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ পাঁচটি দেশে মিতসুবিশির কারখানা রয়েছে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গাড়ি তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও মেক্সিকো, আফ্রিকায় রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে মিতসুবিশির।