এনবি নিউজ : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ের আশা দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমার বয়স অনেক হয়েছে। তারপরও আমি খুব আশাবাদী মানুষ। গত তিনদিন আমার জেলাতে (ঠাকুরগাঁও) আমি পাঁচটি উপজেলায় সফর করেছি। আমি দেখেছি, মানুষের মধ্যে কি অভূতপূর্ব সাড়া। নানা বাধা প্রতিকূলতায়ও নিজের শক্তি নিয়ে মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে। যখনই শুরু হবে আন্দোলন, তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।
২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকরিচ্যুতির ১০ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় ‘চাকরিচ্যুতিদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কখনোই ভেঙে পড়বেন না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদের উঠে আসতে হবে। আমাকে জেগে উঠতে হবে, আমার আশে-পাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে আমার যারা তরুণ যুবক আছেন তাদেরকে জাগাতে হবে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে-এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা অতিদ্রুত করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি একাত্মতা ও সমমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য দফতরগুলোতে অন্যান্য বিভাগসহ বিভিন্নসহ জায়গায় বাংলাদেশি ভালোবাসা মানুষগুলো চাকরিচ্যুত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, আপনারা একা নন, আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো এবং জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।
এ টি