উপনির্বাচনে এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে যায় কম। সেজন্য ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে জোর দিয়েছিল রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল।
ভবানীপুর আসনে ভোটার ছিলেন তিন লাখের বেশি। বৃহস্পতিবার এ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় এলগিন রোডের শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে ভবানীপুর আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।
মোট ২১ রাউন্ড ভোট গণনার মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে মমতা প্রায় আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে খবর দিয়েছে আনন্দবাজার।
গত এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ের মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে নিজের এক সময়ের ডেপুটি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতের নিয়ম অনুযায়ী কেউ হেরে যাওয়ার পরও তার দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নির্বাচিত সদস্যরা যদি তাকে নেতা নির্বাচিত করেন, তাহলে তার মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
তবে ভোটে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ওই পদে বসার ১৮০ দিনের মধ্যে কোনো একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তা না পারলে ছেড়ে দিতে হবে পদ।
সে নিয়মেই ভবানীপুর আসন থেকে এই উপ নির্বাচনে লড়তে হয়েছে মমতাকে। আর তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
মমতার কাছে এই নির্বাচন ছিল তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাকা করার ভোট। আর বিজেপি প্রার্থীর কাছে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা।
ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে এমএলএ নির্বাচিত করতে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায় এই আসন থেকে পদত্যাগ করে নেত্রীর জন্য পথ খুলে দিয়েছেন। ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বলেছিলেন, নিজের আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসাটা তার ভাগ্যে ছিল।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভার ভোটে ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।
এপ্রিলের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে কিছুটা কম ভোট পড়লেও ভবানীপুরের এর আগের উপনির্বাচনের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ আসনেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। তখন ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশের কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।