এনবি নিউজ : বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রের উত্তালতার কারণে সাত মাস বিরতির পর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর ফের শুরু হয়েছে।
শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় সপ্তম দফায় (প্রথম দল) ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা।
আজ বুধবার বেলা ১১টার পর উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে তাদের নিয়ে ৭টি বাস রওনা দিয়েছে। সেখানে ২৫৭ রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে জানা গেছে। আজকে আরও দল যাওয়ার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ও সরকারের মধ্যে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সেখানে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দফায় প্রায় দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার বিকাল থে কেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকে। তারা বুধবার সকালে বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের রওনা দেয়। তারা রাতে চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে পরের দিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বুধবার সকালে সপ্তম দফায় রোহিঙ্গাদের একটি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, সপ্তম দফায় প্রথম দলের রোহিঙ্গাদের একটি অংশ উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এবারে কতজন যাচ্ছে সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার কারণে আতঙ্কিত উখিয়ার কুতুপালং মেগাক্যাম্পের লম্বাশিয়া, বালুখালীসহ বিভিন্ন শিবিরের অনেকে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছে, যারা আগে সেখানে যেতে চাননি।
৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ত্যাগ করেছে। আরও রোহিঙ্গাদের দল যাওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ছয় দফায় ১৮ হাজার ৯৫ রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
এ টি