এনবি নিউজ : রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীতে ড্রোন শো, এরিয়াল শো ও ফায়ার-ওয়ার্কস শো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ২৬ মার্চ জাতীয় সংসদ প্লাজা কিংবা হাতির ঝিল প্রাঙ্গনে আয়োজিতব্য তিন ধরনের এ শো’র ব্যাপ্তীকাল হচ্ছে দেড় ঘণ্টা। স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনসেপশন ৩৬০ লিমিটেড’ সার্বিকভাবে এ তিনটি শো বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করবে। এজেন্সি সার্ভিস ফি, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত বাজেট থেকে ১০ কোটি টাকা দেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অবশিষ্ট অর্থ স্পন্সরের মাধ্যমে যোগাড় করা হবে। সম্প্রতি ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ইভেন্ট ড্রোন শো ও লাইট অ্যান্ড লেজার প্রজেকশন শো’র আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধরনের ইভেন্ট বাংলাদেশে প্রথম। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। ৭শ থেকে ৮শ ড্রোন আকাশে ৪০০ থেকে ৪৫০ ফুট উপরে উঠে ৩০মিনিট ব্যাপী বিভিন্ন শো উপস্থাপন করবে।
লেজার শো’র মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন শো হচ্ছে ‘এরিয়াল লেজার প্রজেকশন শো’। দুটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১ হাজার ফুট উপরে ৩ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ‘লেজার প্রজেকশন শো’ প্রদর্শিত হবে। সেখানে জাতির জনকের ঐতিহাসিক ভাষণসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও উন্নয়নের চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
সূত্রমতে, রাজধানীর ঢাকার জাতীয় সংসদ প্লাজা কিংবা হাতির ঝিল প্রাঙ্গনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হলে তা লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করতে পারবে। এরিয়াল শো-টি ঢাকার সকল প্রান্তে আবর্তিত হয়ে বিচরণ করবে। পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ সরাসরি এ শো উপভোগ করবে পারবে। এ দুটি শো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ স্থান করে নিতে পারে।
সূত্রমতে, এ ধরনের শো আয়োজন করার মতো উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশে খুব বেশি নেই। এ কারণে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান (ইনসেপশন ৩৬০ লিমিটেড)-এর কাছ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই আমেরিকার ‘ইনটেল’ ও অস্ট্রেলিয়ার ‘রিমার্কেবল মিডিয়া’র সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি বিভিন্ন দেশে এ ধরনের শো করে থাকে। বর্ণাঢ্য এ তিনটি শো আয়োজনে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকা এবং উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান বাছাই ও মনোনীত করা সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মনোনীত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তাবিত সম্ভাব্য ব্যয় অনুযায়ী, ড্রোন শো বাবদ ১৮ কোটি টাকা, এরিয়াল শো বাবদ সাড়ে ৫ কোটি টাকা ও ফায়ার-ওয়ার্কস শো বাবদ দেড় কোটি টাকা ব্যয় হবে। অন্যান্য ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় লজিস্টিক ও জনবল খাতে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, এ/ভি প্রোডাকশন খাতে ১ কোটি টাকা, এলইডি লাইটিং খাতে ব্যয় ৪২ লাখ টাকা, বিদেশি ক্রু-দের জন্য এয়ার টিকিট ও হোটেল খরচ বাবদ ৬৫ লাখ টাকা ও ব্র্যান্ডিং ও প্রমোশনে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া এজেন্সি সার্ভিস ফি ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এ টি