সৌদি আরব এশিয়ার দল বলে আজকের ম্যাচে আর্জেন্টিনাই এগিয়ে থাকবে। আর এমনিও তারা সেরা ছন্দে আছে। এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট বলা হচ্ছে তাদের। নিশ্চিন্তে বলা যায়, আর্জেন্টিনা বড় ব্যবধানে জিতবে। তবে নক আউটে গিয়ে তারা কী করবে, এখনই বলার সময় আসেনি।
অবশ্য নিজেদের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় দুর্দান্ত খেলায় এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা ফুরফুরে মেজাজে আছে। এটা তাদের জন্য বেশ ইতিবাচক। এটা মেসির শেষ বিশ্বকাপ যেহেতু, দলের সবাই দেশ ও মেসির জন্য বিশ্বকাপ চাইবে। গত কয়েক বছরে তারা যে খেলাটা খেলেছে, সেটা খেলতে পারলে আর্জেন্টিনা অবশ্যই এবার তাদের তৃতীয় শিরোপা জিতবে। কোপা আমেরিকা আর ফিনালিসিমায় তাদের যে খেলাটা ছিল, সেটা খেললেই চলবে।
অনেকেই আর্জেন্টিনা দলের চোট নিয়ে বলছেন। চোট খেলারই একটা অংশ। এমন নয় যে এক খেলোয়াড়ের চেয়ে আরেক খেলোয়াড়ের অনেক পার্থক্য। বিশ্বকাপে যারা খেলতে আসে, তাদের পার্থক্যটা সর্বোচ্চ ১৯-২০। দলে চোট থাকবেই। না হলে কেন দলে ২৫ ফুটবলার নিয়ে যাওয়া? কোনো এক খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি চোখে পড়বে না। তবে হ্যাঁ, মেসি যদি কোনো কারণে চোটে পড়ে যায়, সেটার প্রভাব হবে বিশাল। না হলে এ নিয়ে না ভাবলেও চলছে।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির প্রশংসা করতেই হয়। একটা সময় এই দলটা এককভাবে মেসিনির্ভর হয়েছিল। সেখান থেকে স্কালোনি আর্জেন্টিনা আত্মনির্ভরশীল, পরিপূর্ণ একটা দল বানিয়েছেন। গোলরক্ষক থেকে শুরু করে রক্ষণ, মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগ—দারুণ সমন্বয় আছে সবার মধ্যে। সবাই একটা দল হয়ে গেছে। এই দলটা যদি আগের মতো মেসিনির্ভর হয়ে থাকত, তাহলে আর এত দূর আসতে পারত না। তাঁরা একটা দল হয়ে খেলছে, পুরো বিশ্বকাপেও সেটাই অব্যাহত থাকবে।
মেসিকে একপাশে রেখে এই দলে ম্যাচ জেতাতে ভালো কজন ফুটবলার আছে। আনহেল ডি মারিয়া তো আছেই। যেকোনো ফাইনালে গোল করার দারুণ একটা সক্ষমতা আছে তার। একটা কথা বলে রাখি, এই বিশ্বকাপে লাউতারো মার্টিনেজ দারুণ করবে। তার গোল করার সক্ষমতা অসাধারণ।
এবার আর্জেন্টিনার তুরুপের তাস হতে পারে অনেকেই। তবে একটা বিষয় না বললেই নয়, যেহেতু সবাই বলছে এই আর্জেন্টিনা দলটা ভালো, তার মানে সবার একটা প্রত্যাশার চাপ আছে। সবাই চায়, এবার আর্জেন্টিনা তাদের শিরোপাখরাটা ঘুচিয়ে ফেলুক। আর যারা বিশ্বকাপে খেলে, তাদের ওপর এই চাপ থাকবেই। আর্জেন্টিনা এই চাপ সয়ে যেতে পারলে অবশ্যই তাদের বড় সম্ভাবনা আছে।