এনবি নিউজ : গত সাত দিনের (২০ জানুয়ারি, শুক্রবার থেকে ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার) ছয় দিনই দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ ছিল ঢাকা। আজ শুক্রবারও বায়ুদূষণের কারণে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৫৬। গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময় ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৩৭২। সেদিক থেকে আজ বায়ুর মান অপেক্ষাকৃত উন্নত হলে ঢাকা শীর্ষ স্থানে আছে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ ‘মাঝারি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১–এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বায়ুদূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। তিনি আজ শুক্রবার সকালে এনবি নিউজকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের উৎসগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। আবার এ সময় আবহাওয়াগত কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো এ দূষণ বাড়ায়। যেমন এ সময় আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তাপমাত্রা কমে যায়, বায়ুর চাপ বেশি থাকে। যদি দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে দূষণ কমতে পারে। কিন্তু ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—শুষ্ক মৌসুমের এ ৪ মাসে বছরের ৬০ ভাগের বেশি বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে আবার জানুয়ারিতে দূষণের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি।