এনবি নিউজ : সুতা, রংসহ সব কাঁচামালের দাম বাড়ায় চাপে পড়েছে তাঁত শিল্প। এছাড়া তাঁতপণ্যের চাহিদা অনেকাংশে ঈদ, পূজা ও নববর্ষ-কেন্দ্রিক হওয়ায় তাঁতীদের কর্মব্যস্ততা সব সময় সমান থাকে না। তবুও বছরে প্রায় ২৭ লাখ শাড়ি-লুঙ্গি তৈরি হয় দেশের তাঁত শিল্পে।
দেশের তাঁত শিল্পে গত সেপ্টেম্বর থেকে মন্দাভাব চলছে। হাটগুলোতে কমে গেছে তাঁতপণ্যের বেচা-বিক্রি। এমন পরিস্থিতিতে রং-সুতাসহ সব ধরনের কাঁচামালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। বিপাকে পড়েছেন তাঁতীরা।
“আমরা তো লসে আছি, বাজার খুব খারাপ। সুতার দাম রঙের দাম যেভাবে বাড়তেছে তাতে আসছে দিনে আর তাঁতী সম্প্রদায় থাকবেনা।” বলছেন একজন তাঁতী।
“যে কাপড়টা ১১শ টাকা খরচে তৈরি সেটা অনেক সময় বিক্রি হয় এক হাজার টাকাতেও।” বলেন বেলকুচির তাঁত ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ।
তাঁত বোর্ড ও তাঁতীদের তথ্য বলছে, দেশে দিনে প্রায় ২৭ লাখের মতো শাড়ী-লুঙ্গী তৈরি হয়। এর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দেশে ও বাকিটা ভারত-সহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হয়।
“তাঁত বোর্ড তাঁতীদের সাথে নাই। আমরা সরকারের পলিসির কিছু ভুরের কারণে আমরা তাঁতীরা বঞ্চিত হচ্ছি অথচ সরকার ঠিকই টাকা খরচ করছে।” বলেন সিরাজগঞ্জের পদকপ্রাপ্ত তাঁতী আফজাল হোসেন লাভলু।
এক্সপোর্টকে আরও বাড়াতে হলে আমাদের আরও কিছু সহায়তা দিতে হবে রকারের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে কাস্টমসের জটিলতা, ইনসেটিভ বাড়ানো, তাঁতীরা নিজেই সরাসরি ভারতে বিক্রি করতে পারে এই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া দরকার।” বলেন ব্যবসায়ীরা।
কালের বিবর্তনে দেশের তাঁত শিল্পে কিছুটা আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। তবে তাঁতীদের যথাযথ প্রশিক্ষিত করা যায়নি। এতে এ শিল্পে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না। যদিও হাতছানি দিচ্ছে অপার সম্ভাবনা।
তবে সুযোগ কাজে লাগাতে তাঁতীদের প্রশিক্ষণ জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি তৈরি পোশাকের মতো তাঁতপণ্যেরও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করার পরামর্শ তাদের।
এদিকে, তাঁতীদের সমিতির আওতায় এনে সহজশর্তে ঋণ-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে জানানে স্থানীয় তাঁত বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন।
তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও অগ্রগতির নিশ্চিতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।