গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ বিকল্প প্রস্তাব দেন সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
আবুল বারকাত আরও বলেন, ‘এখন মানুষের দুঃখ–দুর্দশার মূল কারণ মূল্যস্ফীতি, মানুষ সঞ্চয় ভাঙছেন, ধারদেনা করে চলছেন। ভোগব্যয় কমিয়েছেন অনেকে, বিশেষ করে আমিষ খাওয়া বাদ দিয়েছেন অনেক মানুষ। ওষুধপত্র কেনার সামর্থ্যও হারাচ্ছেন অনেকে।’
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি বলেন, ‘সম্পদ করারোপ করে দুই লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব। বৈষম্য কমাতে হলে সম্পদ করারোপ করতে হবে। সম্পদশালীদের কর কমানো হলে বৈষম্য কমে না। এছাড়া সমাজের কম আয়ের ৯০ শতাংশ মানুষের কর কমানো হলে তাদের কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অনিশ্চিত-অভিঘাত হিসাবে নিলে আসন্ন বাজেটের আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা হওয়া বাঞ্জনীয়।’
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি সমিতির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।