এনবি নিউজ : জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড় এলাকা থেকে গতকাল সকালে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়া দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও ১০ হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বাবুকে শনিবার সকালে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, “ঢাকা থেকে র্যাবের একটি টিম এসে তাকে দেবীগঞ্জ (উপজেলা) থেকে ধরে নিয়ে গেছে।”
বাবু তার চাচা মমতাজের বাড়িতে লুকিয়ে থেকে ভারতে পালানোর পথ খুঁজছিলেন বলে স্থানীয় এক সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া, শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন তাকে (ইউপি চেয়ারম্যান) স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাময়িক অব্যাহতিপত্র পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে জবাব দিতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলার পর তাঁর মৃত্যুর জন্য উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু জড়িত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোড়ালো প্রচারিত হয়। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে দল থেকেও তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
পুলিশ সাংবাদিক গোলাম রব্বানীসহ নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত আরও চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাবু ছাড়া মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ও আটক ১৩ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেলেও বাকিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটক পাচজন হলেন—মাহমুদুল আলম বাবু ,গোলাম কিবরিয়া সুমন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আইনাল হক, কফিল উদ্দিন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা এনবি নিউজকে বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি কেউ।’
গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মারা যান তিনি।