এনবি নিউজ : উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি বাড়ায় বন্যার শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষ। যে কোন সময় বন্যা হতে পাড়ে এমন শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমা ও বাড়ার মধ্যদিয়ে এখন সময় পার করতে হচ্ছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।
বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফায় স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও সোমবার দিবাগত রাত থেকে বাড়তে শুরু করে
এখন বিপৎসীমার কাছাকাছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
চর সিন্দুর্নার ফরহাদ বলেন, তিস্তা নদীর পানি রাত থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরের মানুষ আতঙ্কে আছে যে কোন সময় বন্যা হতে পারে।
সিন্দুর্না ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, তিস্তায় গত চারদিন কোন পানি ছিল না। হঠাৎ গত রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি ক্রমেই বাড়ছে। তিস্তা পারে মানুষ আমরা সতর্ক আছি।
হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, প্রথম দফায় বন্যার পর দ্বিতীয় দফায় গড্ডিমারির পাঁচটি ওয়ার্ডের মানুষ শঙ্কায় রয়েছে। তিস্তা পারের লোকজনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনসহ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। আমরা সকল পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি।
এ টি