এনবি নিউজ : শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও নিজের স্বপ্নের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে অধ্যয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন আয়োজিত গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষাবিষয়ক সামার স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে আত্মপ্রত্যয়ী করছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম।’
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা প্রসারে সবসময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের দরিদ্র ও বঞ্চিত এক কোটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান, মায়েদের মোবাইল প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষিত জাতি প্রয়োজন।’
শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য শুরু করেন ড. শিরীন শারমিন।
এইউডব্লিউ ডিন অব ফ্যাকাল্টি ও একাডেমিক এফেয়ারস ডক্টর বীণা খুরানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ডক্টর রুবানা হক, শেভরন বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির ও লিগ্যালের পরিচালক মানাল মোহাম্মদ।
স্পিকার তৃণমূলের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের এইউডব্লিউর সামার স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এইউডব্লিউ এবং শেভরন বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এমন প্রোগ্রাম শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ডক্টর রুবানা হক শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা সনদ প্রদান করেন। পাঁচ সপ্তাহব্যাপী ভিন্নধর্মী সামার স্কুল প্রোগ্রামে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য পেশাদার ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, কম্পিউটার কোডিং এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞান সেশন পরিচালনা করেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সর্বমোট ৫১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সামার স্কুলে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরুপ যোগ্যতা সনদ দেওয়া হয়েছে।