আজ শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে, সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।’
অনুষ্ঠানে এ বছর আট ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আব্দুস সাদেক। ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও সাউথ এশিয়ান স্বর্ণপদক বিজয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসীন আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তৃণমূল হকি সংগঠক ওস্তাদ ফজলু ও কলসিন্দুর সরকারি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মালা রানী সরকার। প্রথমবারের মতো পুরস্কারের তালিকায় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করেছে মন্ত্রণালয়। সে পুরস্কারটির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান।
এবার শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। এর আগে গণভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।