এনবি নিউজ : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে। এ ঘটনায় শনিবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, দুইজন নারী ও চারজন পুরুষ। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যেক নিহতের দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিকনিকের উদ্দেশে পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্ট থেকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান অভিমুখে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রলারটি। রাত আটটার দিকে খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে অন্ধকারে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনার পর কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় বাকিরা। এ সময় স্থানীয়রা নিজেদের তৎপরতায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থলে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।