এনবি নিউজ : প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে এবার নারী নির্যাতন মামলা করা হয়েছে। মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১ আগস্ট এক কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ দিয়ে মামলার আবেদন করেন। বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদালত অভিযোগটি গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘১ আগস্ট ওই কলেজছাত্রীর বাবা আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত এটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণে গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (কলেজছাত্রী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আসামি খন্দকার মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর মুশতাক তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোনো সহযোগিতা না করে বরং অভিযুক্ত মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেছেন। পরে বাদী গত ১২ জুন মেয়েকে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে মুশতাক তার লোকজন দিয়ে সেখান থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি তার মেয়েকে অনৈতিক কাজে বাধ্য এবং যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে।
এ জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী বলেন, ‘ মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আগে মামলা পর্যালোচনা করবো। এরপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আসলে এসব নিয়ে আর কথা বলার রুচি এবং সময় নেই। আমাকে এর সঙ্গে জড়ানোটা উদ্দেশ্যমূলক। আদালতে গেছেন তো ওনারা, সেখানেই প্রমাণ হবে অভিযোগ সব মিথ্যা।’