এনবি নিউজ : অভিনেতা, কবি ও নির্মাতা তারেক মাহমুদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত বারটার দকি মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। রাতেই তার মরদহে গ্রামের বাড়ি পাবনায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং নাটক অঙ্গনে নেমে আসে শোক।
এক ফেসবুক পোস্টে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান লিখেছেন, আমার খুব প্রিয় মানুষ ছিল তারেক ভাই। আমার নাটকে আমার একটি প্রিয় চরিত্র করেছিলেন তিনি নাটকের নাম ‘‘গফুরের বিয়ে’’। চরিত্রের নাম ছিল আলতা পাগলা। বাস্তবে আলতা চরিত্রটি আমার পরিবারের একজন সদস্য আমার কাকা। সবাই তাকে আলতা পাগলা বলে ডাকে।
তিনি লেখেন, চরিত্রটি যখন তাকে বুঝিয়ে বললাম, এমনভাবে সে করেছিল তার ভেতরে আমি আমার কাকা কী দেখেছিলাম। তারেক ভাই শক্তিমান অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু এই দেশ ও জাতি তাকে কথাটা চিনতে পেরেছিল জানি না। কারণ বর্তমান অভিনেতাদের সহজে চেনা এখন । তবে মৃত্যুবরণের পর আমাদের সমাজের মানুষ ও দেশের মানুষ কিছুটা ফিল করে (চিনতে পারলে)।
সিদ্দিকুর আরও লেখেন, অবশেষে শুধু বলি এই মানুষটা ভালো অভিনয় করতো। তবে আমরা যারা মিডিয়াতে কাজ করি, আমাদের সহকর্মী সম্পর্কে নির্দ্বিধায় বলতে পারি এই মানুষটা একজন ভালো মানুষ ছিল। আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আল্লাহ পাক সবাইকে হেফাজত করুন… আমিন।
কবি, অভিনেতা এবং নাট্য নির্মাতা তারেক মাহমুদ রচিত ২৯তম গ্রন্থ ছিলো ‘টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রথম পাঠ’ গতবছর বইমেলায় প্রকাশ হয়। গ্রন্থটি প্রকাশ করে ‘জনান্তিক প্রকাশনী’। নতুনদের উপযোগী ৪৮ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকের অভিনয়ের বিষয় তুলে ধরা হয়, যটা এক অনন্য সৃষ্টি। তারেক মাহমুদ কবি হলেও কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্র, নাটক, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়েও তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কালার বাঁশি’ প্রকাশ হয় ১৯৯৭ সালে। এদিকে ছায়ালোক মিডিয়া স্টেশন থেকে ‘চটপটি’ শিরোনামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছিলনে তারেক মাহমুদ। ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রটির কাজ প্রায় শষে হয়েছে। চলছিলো সঙ্গীতায়োজনের কাজ। তিন শতাধিক নাটকে অভনিয় করেছেন তিনি।
]