নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদের মতোই বর্তমান সরকারের পতন গণঅভ্যূত্থানেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাজশাহীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ‘ঝটিকা’ মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, নব্বইয়ের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেনি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো।এই সরকারও জনরোধ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই তাদের পতন গণঅভ্যুত্থানেই ঘটবে। জনগন আজকে জেগে উঠেছে। রাজপথের তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে, বাড়ি ফিরে যাবে না।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতন ঘটেছিলো। এই দিবসটিকে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলো ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসলেও এবার আন্দোলনে থাকায় তাদের আলাদা কোনো কর্মসূচি ছিল না।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফাসহ ‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ৪৮ ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিনে ‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভী এই প্রথম ঢাকার বাইরে গিয়ে ঝটিকা মিছিল করেন। এর আগে প্রায় সবগুলো অবরোধে রিজভী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ‘ঝটিকা’ মিছিল করেছেন সকাল বেলা।
উত্তরাঞ্চের বিভাগীয় শহর রাজশাহীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়াম সড়কে ১৪/১৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে এই ঝটিকা মিছিলটি সিটি হাট রোডের ডাবলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ঝটিকা মিছিলে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী যুব দলের সদস্য সচিব রেজাউল করীম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনাজ খুরশীদ রিজভী, রনি প্রাং, জেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক শামীম সরকার প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে রিজভী চলে যান।
সরকারের ‘একতরফা’ নির্বাচন জনগন হতে দেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারো একটি পাতানো নির্বাচন পথ ধরে এগুচ্ছে। তারা ভেবেছে এইভাবে ‘১৪ ও ‘১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তা এবার হতে দেয়া হবে না। সরকারের নীল নকশার এই নির্বাচন জনগন যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে। ভোটারবিহীন নির্বাচনে পরিকল্পনাকে জনগণ গুড়িয়ে দেবে।