হঠাৎ করেই চটেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমার। ধুয়ে দিয়েছেন গণমাধ্যমকে। কিন্তু কেন? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ব্রাজিলিয়ান ইউটিউবার ও কৌতুক অভিনেতা হুইন্দেরসন নুনেসের সঙ্গে জেসিকা কানেদো নামে এক ছাত্রীর কথিত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একটি ভুয়া স্ক্রিনশট সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর তা নিয়ে ব্রাজিলের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জোরালোভাবে সংবাদ প্রচার করে।
তবে নুনেস ও কানেদো দুইজনেই শুরু থেকেই সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে আসেন। তারা দাবি করেন, একে অপরকে চেনেন না, এমনকি কখনো দেখা হয়নি। এরপরও ব্রাজিলের বিনোদন সাংবাদিক রাফায়েল সুসা অলিভেইরা বিষয়টি নিয়ে তার ইনস্টাগ্রাম ও এক্স অ্যাকাউন্ট ‘চোকেই’তে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এমন অসত্য ও ভিত্তিহীন সংবাদ এবং অনুষ্ঠান হয়তো সহজভাবে নিতে পারেননি ২২ বছর বয়সী জেসিকা কানেদো। শেষ পর্যন্ত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি আত্মহত্যা করেন। দেশটির সিভিল পুলিশও (তদন্তকারী রাজ্য পুলিশ) কানেদোর মৃত্যুকে সম্ভাব্য আত্মহত্যার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
জেসিকার মৃত্যুর ঘটনা নেট-দুনিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যা সমাজে মেয়েটির ব্যাপারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইউটিউবার নুনেস ও ছাত্রী কানেদোর কথিত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক সংবাদ ও কানেদোর মৃত্যুর খবর নেইমারের কানেও এসেছে। এ নিয়ে নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর বেজায় চটেছেন এই তারকা ফুটবলার।
নেইমার রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিদ্বেষীদের উদ্দেশে বলছি। তোমরা যারা ঘৃণা ছড়াও, যারা নিজেদের সবজান্তা ও সত্যের অধিকারী মনে করো, যারা সাধু সেজে থাকো, যেন কখনো ভুল করো না; তাদের অভিনন্দন। তোমরা আরেকজনকে শিকার করেছ। তারা যা প্রকাশ করে, সেটার প্রতি খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আমি সত্যিই সেসব মানুষকে ঘৃণা করি, যারা নিজের পরিচয়ের আড়ালে অন্য কারও সম্পর্কে বাজে কথা বলে। (সত্যতা যাচাই না করেই) সবার আগে সংবাদ ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা কারও জীবন শেষ করে দিতে পারে। সবাই মানসিকভাবে শক্ত নয়।’