যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে, তারা সাইনাসের সমস্যায় বেশি ভোগেন।
শীতে অনেকেই সাইনাসের সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে, তারা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। দূষণের আধিক্য, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে সাইনাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নানা ধরনের জীবাণু শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সাইনাসে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। সাইনাস মাথার এমন একটি ফাঁপা অংশ, যার কাজ নাকের ভেতর বায়ু চলাচলে সাহায্য করা। কোনও কারণে এই সাইনাসে সংক্রমণ হলে বাতাস চলাচলে সমস্যা হয়। এতে অনেক সময় তীব্র মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
রোগের কারণ
১. ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
২. ঠান্ডাজনিত কারণ
৩. দাঁতের ইনফেকশন
৪. দীর্ঘমেয়াদি হাঁপানির সমস্যা
৫. ধুলোবালি বা অ্যালার্জি
৬. নাকের হাড় বাঁকা
৭. মুখগহ্বরের টনসিল বড় হলে
৮. অপুষ্টি, পরিবেশ দূষণ ও ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ
কী কারণে হতে পারে
১. মাথাব্যথা
২. জ্বর
৩. নাক বন্ধ
৪. কাশি
৫.গলা ভেঙে যাওয়া
জটিলতা
জীবাণুর সংক্রমণ সাইনাস থেকে চোখ ও মস্তিষ্কে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মস্তিষ্কে সংক্রমণের ফলে মাথাব্যথা ও দৃষ্টিহীনতা, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। চোখে সংক্রমণের ফলে পেরিঅরবিটাল ও অরবিটাল সেলুলাইটিসসহ অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
করণীয়
১. ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা।
২. বিশ্রাম নিতে হবে। ভালো করে ঘুমাতে হবে।
৩. বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
৪. সুগন্ধি দ্রব্য থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
৫. ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৭. ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে।
৮. ঘরে এয়ার কন্ডিশন থাকলে সেটাও ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
৯. ধোঁয়া এড়িতে চলতে হবে। সিগারেটের ধোঁয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
১০. সাইনাসের ভোগান্তি এড়াতে গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।