পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেছেন। গেল ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর নবগঠিত মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সরকারের কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোনো লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হইবেন না কিংবা মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোনো কোম্পানি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনোরূপ অংশগ্রহণ করিবেন না।’ মন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, নির্বাচন কমিশনার ও সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যদের বেলায়ও সংবিধানের এ ধারা প্রযোজ্য।
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে রবিবার প্রথম কর্মদিবস ছিল পাপনের। এদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলো এখান (বিসিবি) থেকে বের হব, যতো দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসতে চাই। তবে এমন কিছু করব না যেটির কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। এখন এটি ছেড়ে দেয়া ভালো। তবে এই পদে থাকতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
নতুন করে ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনের সব ইভেন্টই দেখতে হবে পাপনকে। যার কারণে বিসিবির দায়িত্ব সামলানো কঠিন বলে মনে করেন তিনি, ‘এখন আরো বড় দায়িত্ব পেয়েছি। সব খেলাই এখন আমাকে সমান চোখে দেখতে হবে এবং মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য বিসিবির সভাপতি হিসেবে সেখানে যে সময় দিতে হবে সে সময় দিতে পারব না। তাই আমার সরে আসাই উচিৎ।’
নতুন সভাপতি কে হবেন এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘এখানে তো একটি প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে একটি হলো আমাদের যে মেয়াদ, সেটি সামনের বছর শেষ হবে। এই মেয়াদের পর আমি যদি না দাঁড়াই তাহলে তো শেষ। নতুন যারা আসবে তারা তাদের মতো বোর্ড ও সভাপতি বানাবে। এটি খুবই সহজ প্রক্রিয়া। প্রথমে কাউকে কাউন্সিলর হতে হবে, তারপর তাকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিতদের মধ্যে থেকেই বোর্ডে যারা থাকবেন তার নির্ধারণ করবেন কে সভাপতি হবে। এখানে সরকারের বা বাইরের কারও প্রভাব থাকবে না।’