মুমিন মুসলমানের জন্য মৃত্যু সবসময় স্বস্তিকর। তবে হঠাৎ মৃত্যু থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করেছেন দয়ার নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর তার প্রিয় উম্মতকেও তা শিখিয়েছেন।
দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَدْمِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْغَرَقِ وَالْحَرَقِ وَالْهَرَمِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাদমি ওয়া আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল গারাকি ওয়াল হারকি ওয়াল হারাকি ওয়াল হারামি ওয়া আউজুবিকা আঁইয়াতাখব্বাতানিশ শাইতনু ইংদাল মাওতি ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা ফি সাবিলিকা মুদবিরান ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা লাদি-গান’।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই গহ্বরে পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ থেকে, আমি আপনার কাছ থেকে আশ্রয় চাই পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ থেকে এবং অতি বার্ধক্য থেকে। আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই মৃত্যুকালে শয়তানের প্রভাব থেকে, আমি আশ্রয় চাই আপনার পথে জিহাদ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মৃত্যুবরণ থেকে’। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৫২; নাসায়ি, হাদিস : ৫৫৪৬), হাকিম, হাদিস : ১/৫৩১)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন-
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
উচ্চারণ: ‘ওয়া লিকুল্লি উম্মাতিন আজালুন ফাইযা-জাআ আজালুহুম লা-ইয়াসতা’খিরূনা সা‘আতাওঁ ওয়ালা-ইয়াসতাকদিমূন’।
অর্থ: ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহুর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে’। (সূরা: আরাফ, আয়াত: ৩৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, পানিতে ডুবে, কলেরায়, প্লেগে ও ভূমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহিদ। (বুখারি ৭২০)
অপর বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা তোমাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকে শহিদ বলে গণ্য কর? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে যে নিহত হয়, সে-ই শহিদ। তিনি বললেন, তাহলে তো আমার উম্মতের মধ্যে শহিদ খুবই অল্প।
লোকেরা বলল, তাহলে কারা শহিদ বলে গণ্য হবে, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, যে আল্লাহর পথে নিহত হয় সে শহিদ, যে আল্লাহর পথে মারা যায় সে শহিদ, যে প্লেগ রোগে মারা যায় সে শহিদ, যে পেটের রোগে প্রাণ হারায় সে শহিদ এবং যে পানিতে ডুবে মারা যায় সেও শহিদ। (রিয়াদুস সালেহিন ১৩৬২)