চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তাকে (৩৫) গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর থেকে টয়লেটে নিয়ে রাখা হয় তার মরদেহ। এ ঘটনায় ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রিক্তা ওই এলাকার বেপারি বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে। তিনি গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূ বরণ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী। রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পী জানায়, রাতে সে বাড়ি ফিরে তার খালাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখতে পান। এসময় বাড়ির লোকজন এসে টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রিক্তার রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান জুয়েল জানান, ১০ বছর আগে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছিলো। তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস আগে সে ছুটি কাটিয়ে আবার প্রবাসে পাড়ি দিয়েছে। তাদের কোনো সন্তান নেই।
হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির। তিনি জানান, ‘রিক্তার আমার চাচাতো বোন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’
অন্যদিকে রিক্তার মামা মো. আমিনুর রহিম পাটোয়ারী বলেন, রিক্তার ভাই মালেক, ছেলে মেহেদী হাসান ও ভাইয়ের বউ শিউলি বেগম তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ১০/১২ দিন আগে রিক্তা তাকে বিষয়টি অবহিত করেছে। ভাগ্নি হত্যার বিচার চান তিনি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল জানান, হত্যার বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামে একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মমতাজ বেগম রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।