সর্বনিম্ন দুইজন হলেই জামাত করে নামাজ আদায় করা যায়। যদি একজনই মুক্তাদী হয়, বালেগ পুরুষ হোক অথবা না-বালেগ বালক হোক; ইমামের ডান দিকে একটু পেছনে তার দাঁড়ানো উচিত। একজন মুক্তাদীর ইমামের পেছনে বা বাঁয়ে দাঁড়ানো মাকরুহ। (আসান ফিকাহ খ. ১, জামাতে নামাজের বর্ণনা)
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
صَلاةُ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلاتِهِ وَحْدَهُ ، وَصَلاةُ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلاتِهِ مَعَ الرَّجُلِ ، وَمَا كَانُوا أَكْثَرَ فَهُوَ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: ‘নিশ্চয় দু’জনের জামাত একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামাত দু’জনের জামাতের চেয়ে উত্তম। জামাতে লোক সংখ্যা যত বেশি হবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়’। (নাসায়ী: ৮৪৩, আবু দাউদ: ৫৫৪)
তবে পুরুষের জন্য মসজিদের জামাতে নামাজ পড়া জরুরি। বিনা ওজরে ফরজ নামাজ ঘরে আদায় করা ঠিক নয়। একাধিক হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যেমন- এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন-
لقَدْ هَمَمْتُ أنْ آمُرَ بالصَّلاةِ فَتُقامَ، ثُمَّ أُخالِفَ إلى مَنازِلِ قَوْمٍ لا يَشْهَدُونَ الصَّلاةَ، فَأُحَرِّقَ عليهم
অর্থ: ‘আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, নামাজ আদায় করার আদেশ করব। নামাজে দাঁড়ানোর পর যে সম্প্রদায় (মসজিদে) নামাজে উপস্থিত হয় না, আমি তাদের বাড়ী গিয়ে তা জ্বালিয়ে দেই’। (বুখারি: ২৪২০)