কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় লালমাই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা যায়, লালমাই উপজেলার গোসাইপুষ্করনী গ্রামের মোস্তফা কামাল মজুমদারের মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিক সৌদি আরব থাকায় একই উপজেলার দত্তপুর গ্রামের মেহেদী হাসান হৃদয়ের সাথে কিছুদিন পূর্বে মোবাইলে বিয়ে হয়েছিল ফাহিমা আক্তারের। সোমবার দুপুরে গলায় উড়না পেছিয়ে নিজ কক্ষে পাঁস দিয়েছে ফাহিমা আক্তার। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লালমাই থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ফাহিমা আক্তারের বাবা মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, আমার মেয়ের বিবাহ তারা মেনে নিতে পারেনি যার কারনে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
নিহতের শ্বাশুড়ি বলেন, দুপুরে বৌমা সহ একসাথে খেয়েছি ফোন আসাতে সে তার রুমে চলে যায় পরে আমি শুয়ে যাই পরে ঘুম থেকে উঠে আমি নতুন বাড়িতে যামু সেজন্য ফাহিমাকে ডাকদিতে থাকি কিন্তু ডাকাডাকি করার পরেও দরজা না খুল্লে আমার সন্ধেহ জাগে পরে পেচনের জানালা দিয়ে দেখি ফাহিমা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।
লালমাই থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে সিলিং ফ্যান থেকে লাশ নামিয়ে নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।