নিত্যপণ্যের বাজারে আবারো বাড়তে শুরু করেছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। সপ্তাহখানেক আগেও ফার্মের ডিমের ডজন (বাদামি) বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান, মগবাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। তবে ফার্মের (সাদা) ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। ফার্মের পাশাপাশি দর বেড়েছে হাঁসের ডিমেরও। এক সপ্তাহের তুলনায় হালিতে ১০ টাকা বেড়ে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের এক খুচরা ডিম বিক্রেতা বলেন, আড়তে ডিমের দর বেড়েছে। আড়তে গেলে পাইকাররা জানান, খামারিরা দর বাড়িয়েছে, তাই আড়তে আরো বাড়তে পারে দাম।
পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। তখন পাইকারিতে ডিমের পিস ৭ থেকে ৮ টাকায় নেমে আসে। একটা ডিমের উৎপাদন খরচ হয় ১০ টাকার বেশি। সেজন্য এখন থেকেই অনেক খামারি মুরগি উৎপাদন কমিয়েছেন। তাতে ডিমের উৎপাদনও কমেছে। তবে চাহিদা তো কমেনি। এর প্রভাব পড়েছে দামে।
এদিকে বাংলাদেশ ডিম উৎপাদক সমিতির সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ঠান্ডার কারণে উৎপাদন কমে গেছে। তাছাড়া খামারিরা বয়স্ক মুরগি বিক্রি করে ফেলছেন। নতুন করে যেসব বাচ্চা বড় হচ্ছে সেগুলো এখন ডিম দেওয়ার উপযোগী হয়নি। এটি স্থায়ী কোনো সমস্যা নয়। ডিম উৎপাদক মুরগি বড় হচ্ছে, সামনে ঠান্ডাও কমে যাবে, উৎপাদন ঠিক হয়ে যাবে।