মানুষ সবচেয়ে বেশি রোগাক্রান্ত হন মৌসুম বা ঋতু পরিবর্তনের সময়। আর এমন সময় ঠাণ্ডা, সর্দিকাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হন অনেকেই। গবেষকদের মতে ৪০ শতাংশ মানুষ মৌসুম পরিবর্তনের সময় হিউম্যান রাইনোভাইরাসের (এইচআরভি) কারণে অসুস্থ হন। তবে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
হাত ধৌত করুন: হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সবসময় হাত ধোঁয়া জরুরি। সারাদিন হাত দিয়ে আমরা অনেক জিনিস স্পর্শ করি। এসব জিনিসে থাকা অদৃশ্য জীবাণু স্বাভাবিকভাবে হাতের মাধ্যমে মুখ, চোখ ও কানে প্রবেশ করে। নিয়মিত হাত ধোঁয়ার অভ্যাস না থাকলে এসব জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে সৃষ্টি করতে পারে বিভিন্ন রোগ। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঘরে ফিরে হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করলে রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করুন: গবেষকরা বলছেন, যারা গরম পানির মাধ্যমে কুলকুচি করেন তারা রোগ প্রতিরোধ করতে পারেন। কিন্তু যারা কুলকুচি করেন না ঋতু পরিবর্তনের সময় তারাই রোগাক্রান্ত হন। সবসময় কুলকুচি করা জরুরি। কুলকুচির মাধ্যমে মু ও ঠোঁট থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়। কুলকুচি করার সময় মুখে অন্তত ৬০ সেকেন্ড পানি রেখে দিতে হয়।
ভ্যাক্সিন নিন: যেকোনো রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় ভ্যাক্সিন। ঋতু পরিবর্তনের সময় হরহামেশা অসুখ হয়ে থাকে। এসব রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আগে থেকে যদি ভ্যাক্সিন নেয়া থাকে তাহলে মৌসুম পরিবর্তনের সময় রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
ব্যায়াম করুন: সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ব্যায়াম করা আবশ্যক। নিয়মিত হাঁটলেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও পেশী নড়াচড়া করে। হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়ামের অভ্যাস থাকলে ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঋতু পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ব্যায়াম করতে হবে।
ঘুমান: শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম নিয়ামক ঘুম। প্রতিদিন রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম মানুষকে কাজে মনোযোগী করে তোলে। গবেষকরা বলছেন, যারা ৮ ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমান তাদের ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়।