নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেয় আদালত।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নং আমলী আদলতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন এ নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম এ আউয়াল তার একমাত্র মেয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা উম্মে সালমা নিশির বাবুর ২৪১ হার্টবিট নিয়ে চিকিৎসার জন্য সাউথ বাংলা হসপিটালে আসেন। এ সময় হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীর কোনো রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই সিজারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুহূর্তেই মা ও সন্তানের মৃত্যু ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় প্রেরণ করে। পরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়।
মামলার বাদী মৃত নিশির বাবা এম এ আউয়াল বলেন, গত ১৬ অক্টোবর আমার অনুমতি ছাড়া অপারেশন করে। এতে করে আমার মেয়ে ও নবজাতককে হত্যা করা হয়। আমি তখনই অভিযোগ করেছি সিভিল সার্জন অফিসে। এক মাত্র মেয়ে ও তার নবজাতকের মৃত্যুতে দীর্ঘ চার মাস আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। সব শেষ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। হতভাগা বাবা হিসেবে আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।
পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো।