বিপিএল শুরুর প্রথম চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে উড়তে শুরু করেছিল খুলনা টাইগার্স। এরপর থেকেই ছন্দপতন এনামুল হক বিজয়ের দলের। শেষ ৭ ম্যাচের মাত্র ১টি ম্যাচেই জয় এসেছে তাদের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১টা ম্যাচ বাকি থাকলেও, সেখান থেকে প্লে-অফে যাওয়া অসম্ভব।
টানা এই ব্যর্থতার কারণে খুলনা টাইগার্স ছিটকে গেছে বিপিএলের চলতি আসরের শেষ চারের লড়াই থেকেও। বিজয়ের কাঠগড়ায় শেষ ৭ ম্যাচের ১টিতে জয়। এছাড়া হতাশাজনক ব্যাটিংকেও দায়ী করছেন খুলনার অধিনায়ক।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেন, ‘আসলে বড় টুর্নামেন্টে এরকম হয়েই থাকে। কেউ জিতবে কেউ হারবে। আমাদের লম্বা একটা সময় চলে গেছে। যেটা দলের জন্য ক্ষতিকর ছিল। যেটা আমরা আশা করিনি। ওইখানে আমাদের হারতে হয়েছে। ম্যাচগুলাতে অবশ্যই ২-১টা ম্যাচ আমাদের পক্ষে রাখা উচিত ছিল। যেটা আমরা রাখতে পারিনি। শেষ ৭ ম্যাচে ১ জয় যদি ধরেন মাঝখানের ব্যাটিংটা আমাদের মজবুত ছিল না। টপ অর্ডারে হয়েছে, হয়নি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় মাঝখানে আরও প্রোপার ব্যাটিং করতে পারলে হয়তো খেলার দৃশ্য অন্যরকম হতে পারত।’
খুলনার বিপক্ষে চট্টগ্রামের ব্যাটার তানজিদ তামিম করেছেন ১১৬ রান। তরুণ এই ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে খুলনা। প্রতিপক্ষ দলের এমন সেঞ্চুরির প্রশংসা করে বিজয় বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সচরাচর এমন ইনিংস দেখা যায় না। এবারের বিপিএলে হৃদয়ের একটা দারুণ ইনিংস দেখা গেছে। লিটনের ৮০ রানের ইনিংসটাও দারুণ ছিল। তামিম একটা দারুণ ইনিংস খেললো। অবশ্যই প্রশংসা করার মত। দেশি আমাদের যারা আছে টপ অর্ডার থেকে এমন বড় রান হলে তো আসলে দারুণ লাগে। অবশ্যই ইনিংসটা অনেক অসাধারণ ছিল।’
প্লে অফ খেলতে না পারা নিয়ে বিজয় বলেন, ‘আসলে ম্যাচ বাই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি চিন্তা করতে হয়। অবশ্যই এটা হারার কথা না। আমরা যদি সেখানে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে পারতাম তাহলে অন্য কিছু ঘটতে পারত। আমরা টানা ম্যাচ জিতছিলাম। মোমেন্টাম শিফট হয় এভাবে। পরেও আমরা ভালো এক্সিকিউশন করতে পারিনি যেটা করা উচিত ছিল। ওভারল আমাদের ভালো ফলাফল হয়নি।’