রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫)।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
অ্যাডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তারা দু’জন একসঙ্গে করে হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান।
ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। তখন আতাউর রহমান শামীম উঁকি মেরে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছু না দেখায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন।
এসময় ভীড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম অগ্নিদগ্ধে মারা যান।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম নিহত হওয়ায় গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন লাগে। বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে।
তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়।
অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান। আগুনের ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।