৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কুখ্যাত জলদস্যু মো. জসিমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র মামলায় তাকে ৮৪ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) রাতে সুবর্নচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জসিম নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মাইজছড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেম ভান্ডারীর ছেলে।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, জসিম পেশায় একজন জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তিনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা উপকূলবর্তী এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। উপকূলবর্তী এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। তার নেতৃত্বে নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও ভোলার উপকূলবর্তী এলাকায় জেলেদের অপহরণ করত। তারপর মুক্তিপণ আদায় করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। উপকূলের লোকজন তাদের এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করতো না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন উক্ত ব্যক্তিকে মারধরসহ নির্যাতন করতো। তার বিরুদ্ধে ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন থানায় ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা সমূহে জসিমকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশেষ অভিযানে সুবর্ণচর হতে ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র মামলায় ৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে একজন কুখ্যাত জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বলেন, আসামি জসিমকে র্যাব-১১ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করেছি। বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।