সাগর হোসেন : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ আগের চেয়ে কমেছে। টিকার জন্য অনলাইন নিবন্ধনও কম হচ্ছে। একইভাবে টিকাগ্রহীতার দৈনিক সংখ্যাও বেশ কমে এসেছে। যদিও তিন সপ্তাহ ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। শুরুর দিকে দৈনিক টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি ছিল। অথচ গতকাল টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৯৩৩ জন; যা দেশে করোনার টিকাদান শুরুর প্রথম দিনের পরে সর্বনিম্ন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে, সংক্রমণ থেকেও ততো বেশি সুরক্ষা পাওয়া যাবে। নিবন্ধন ও দৈনিক টিকা দেওয়ার গতি বাড়িয়ে অল্প সময়ে বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা দরকার। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই টিকা দেওয়া হচ্ছে। দিনে সাত থেকে আট লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আছে। সেই সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে।