গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২ জন। এদের মধ্যে ৫ জন আইসিইউ এবং ২ জন এইচডিইউতে ভর্তি আছেন। রোগীদের মধ্যে একজনের শরীরের ১০০ শতাংশ, তিনজনের ৯৫ শতাংশ ও ১৬ জনের শরীরের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা এক বোর্ড সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এসব তথ্য দেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ভর্তি রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বহন করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে ভাবতে হবে। দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়তো বাঁচাতে পারবো না। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনো অবহেলা না থাকে এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থিসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমামসহ (ইমু) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক।