ভারতে লোকসভা ভোটের আগে ‘টাকার খেলা’ রুখতে তৎপর হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি রুপির ‘দাবিহীন’ নগদ অর্থ।
এমনকি ওয়াশিং মেশিনে ঠাসা নোটের বান্ডিলও উদ্ধার করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, মোট ২ কোটি ৫৪ লাখ রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওয়াশিং মেশিনে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং তার ডিরেক্টর বিজয়কুমার শুক্ল ও সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, কুরুক্ষেত্র এবং কলকাতায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এবং ওই সংস্থাগুলোর ডিরেক্টরদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। মূলত ওই সংস্থাগুলো বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি রুপির লেনদেন হয়েছিল বলে ইডি জানতে পারে। ফলে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার ইডি দিনভর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই ২ কোটি ৫৪ লাখ রুপি দাবিহীন নগদ অর্থও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উদ্ধার হওয়া সেই অর্থের একটি বড় অংশ গচ্ছিত ছিল ওয়াশিং মেশিনে। তবে, ওয়াশিং মেশিনটি ঠিক কোথায় ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ইডি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্সের সহযোগী হিসাবে কাজ করায় উঠে এসেছে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার নাম। সেই সংস্থাগুলোর ডিরেক্টররাও বর্তমানে রয়েছেন ইডির নজরদারিতে।
তালিকায় আছে লক্ষ্মিতন মেরিটাইম, হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনাল, রাজনন্দিনী মেটালস লিমিটেড, স্টুয়ার্ট অ্যালয়স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভাগ্যনগর লিমিটেড, বিনায়ক স্টিলস লিমিটেড, বশিষ্ঠ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মতো সংস্থা।
এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে কয়েকদিন আগেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এটি নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক মহলে চলছে শোরগোল।
অন্যদিকে নিয়োগ থেকে রেশন, একাধিক দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গেও জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। আর এর মধ্যেই ওয়াশিং মেশিন থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে আলোড়ন।