নোয়াখালী কবিরহাট থানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরে বাবুল মিয়া নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী ধানশালিক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। এরআগে গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে করিহাট থানার সীমানা প্রাচীরের ভিতর এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া বলেন, সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে ধানশালিক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে চর গুল্লাখালী গ্রামে রিক্সা চালক নুরুল হকের চলাচলের রাস্তার সীমানা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ তৈরী হয়। সংঘর্ষে রিক্সা চালক পরিবারের মো. রহিম (৩২), নূর আলম (২২), বিবি কুলসুম (৫০) ও মো.সেলিম (৩০) আহত হয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আহতদের মধ্যে তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। সেখানে কবিরহাট থানার এসআই প্রতাপের নেতৃত্বে পুলিশেরে একটি টিম পৌঁছে এবং তারা হামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে কবিরহাট থানার ওসির সঙ্গে দেখা করতে গেলে থানার সীমানা প্রাচীরে (দেয়াল) ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ও তার সঙ্গীয় একাধিক ব্যক্তি আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করতে থাখে এবং এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কোন অভিযোগ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেখান থেকে কোন মতে আহতদের নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুনরায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে আবারও হামলা চালায় সাহাব উদ্দিন ও তার লোকজন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হামলার ঘটনাটি তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনকে জানালে, তিনি এই ঘটনার বিচার করতে পারবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেয়।
আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইজবুক) লাইভ করে সত্য ঘটনা তুলে ধরব।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, থানার ভেতর কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমার কাছে ৯৯৯ থেকে কল আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।