সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে নিজের লোক জেতাতে প্রভাব বিস্তার করলে দল কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাছান মাহমুদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এসময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করবো। আমার একজন থাকবে তাকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন, এই নির্বাচন নতুন পরিবেশ আপনাদের অনুরোধে উম্মুক্ত নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা দিয়েছি। এইবার উম্মুক্ত করে দিয়ে এইটা আমরা দেখতে চাই এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ফেয়ার হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উম্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। ইলেকশন সম্পূর্ণভাবে ফ্রি এন্ড ফেয়ার করতে চাই উপজেলায়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। নির্বাচন শেষে, নির্বাচনের আগের আশঙ্কা-আতংক ছিল তা নির্বাচিনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সাথে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
সংগঠন যখন আছে সমস্যাও থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল, বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেধে নামতে চাই। নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন তখন দায়িত্বজ্ঞা হীন বক্তব্য রাখবেন সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার উপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।