এক সেশনও টেকা হলো না বাংলাদেশের। ২৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। পঞ্চম দিনে জেতার চেয়ে হার বিলম্বিত করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু সেটাও হয়নি। এক সেশন শেষের আগেই অলআউট হতে হলো বাংলাদেশকে। স্বল্প এই সময়ে প্রাপ্তি কেবল মিরাজের ফিফটি।
অবশ্য বোলারদের দিক থেকে প্রচেষ্টার কমতি ছিল না। হারের ব্যবধানটাও তাই কিছুটা অন্তত কমে এসেছে। শ্রীলঙ্কার ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিরাজের হাফসেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশ গিয়েছে ৩১৮ পর্যন্ত। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের পরাজয় ১৯২ রানে। সিরিজটা বাংলাদেশ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।
আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে এদিন মোটে ৪ রান যোগ করেছেন তাইজুল ইসলাম। কামিন্দু মেন্ডিসের বলে গালিতে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন নিশান মাদুশকা। এর আগেই অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অষ্টম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেছে মিরাজ-তাইজুল জুটি।
হাসান মাহমুদ এরপর ভালোই খেলেছেন। ২৫ বলে করেছেন ৬ রান। বাংলাদেশের অবস্থা বিবেচনায় এমন স্কোর খারাপ বলার সুযোগ কই! তাকে নিয়ে দলের স্কোর ৩০০ পার করেছেন মিরাজ। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ৩০০ রান করা। এমনকি নিজেদের টেস্ট ইতিহাসেই এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ করেছে বাংলাদেশ।হাসান মাহমুদ আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারার বাউন্সারে। নিজেকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে বল লাগিয়েছেন। সিলি মিড অনে দাঁড়ানো নিশান মাদুশকা ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। শেষ উইকেটও নিয়েছেন লাহিরু কুমারাই। খালেদকে বোল্ড করে নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। লঙ্কানদের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। তিন উইকেট গিয়েছে কামিন্দু মেন্ডিসের ঝুলিতে।
এর আগে ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো চলতি সিরিজে ২০০ রান পার করেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের ৫০ রানের পাশাপাশি সাকিব আল হাসানের ৩৬, লিটন দাসের ৩৮ রান বাংলাদেশকে দিয়েছিল বলার মতো স্কোর। শেষ বিকেলে মিরাজের ৪৪ রান চট্টগ্রাম টেস্টকে টেনে নিয়েছিল ৫ম দিন পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের ফ্ল্যাট উইকেটে আগে ব্যাট করে রানের বিশাল পাহাড় দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। ৬ অর্ধশতকের সুবাদে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫৩১ রানের। কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এরপর বাংলাদেশ যথারীতি দেখিয়েছে নিজেদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের নমুনা। ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলের পক্ষে ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন মোটে দুইজন।
ফলো-অন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে ক্ষণিকের স্বস্তি দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। অভিষিক্ত এই বোলার ৪ উইকেট শিকার করেন। তবে চতুর্থ দিন ডিক্লেয়ার করার আগপর্যন্ত নিজেদের লিড ঠিকই ৫১০ পর্যন্ত টেনে নেয় লঙ্কান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করলে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৫১১। রানতাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গিয়েছে ৩১৮ পর্যন্ত।