প্রতিবারের মতো এবারো শক্তিশালী দল গঠন করেছে আবাহনী লিমিটেড। আসরে ৯ ম্যাচের সবকটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। এই ইনফর্ম দলের স্কোয়াডে আছেন লিটন দাসও। তবে ৯ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন কেবল একটিতে।
সম্প্রতি ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন লিটন। নিজেকে ফিরে পেতে বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছেন আবাহনী থেকে। মানসিকভাবে চাঙা হয়ে ফিরতে চান এই ওপেনার।
গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘লিটন একটা ব্রেক চেয়েছে। তার দিনে লিটন ওয়ান অব দ্য বেস্ট প্লেয়ার। আমি সব সময় লিটনের ব্যাটিং অনেক পছন্দ করি। ওর ব্যাটিং দেখা অন্য রকম ব্যাপার। মেন্টালি হয়তো ব্লক আছে। রান করেনি। যদি আমার ওই ফ্লেক্সিবিলিটি না থাকত তাহলে হয়তো আমি লিটনকে এই ব্রেকটা দিতাম না। ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, আমাদের যে ব্যাটিং অর্ডার…আমি মনে করি একটা ব্রেক নিয়েই আসুক। তাকে সুপার লিগ থেকে পাব আশা করছি।’
‘আমাদের দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী, যথেষ্ট না অনেক শক্তিশালী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এ রকম এত শক্তিশালী দল কবে ছিল আমার মনে পড়ে না।’-যোগ করেন সুজন।
লিটনের একাদশে সুযোগ নিয়ে সুজনের ভাষ্যে, ‘আগে কাজটা সহজ ছিল। এখন আর সহজ নেই। আবাহনী এখন জাতীয় দল থেকেও ভালো! আমি কালকে শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম, ‘তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন শক্তিশালী।’ সুতরাং যারা আবাহনীর জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করছে, পারফর্ম করছে, তাদের ফেলে দেওয়া সহজ নয়।’
আবাহনীতে কারও জায়গা পাকা নয়, দাবি করে সুজন বলেন, ‘আমি তো বললাম, আবাহনীতে কারও জায়গা নিশ্চিত নয়। আমি খুবই পেশাদার। আবাহনী অনেক টাকা দেয়। অন্য প্রিমিয়ার লিগ দল থেকে বেশি টাকা দেই বলে ওরা আবাহনীতে খেলে। লিটন দাস, মোসাদ্দেক সৈকত, নাজমুল শান্ত, সাইফউদ্দিন, ওরা কিন্তু আবাহনীতে অনেক বছর খেলছে। ওরা কিন্তু যেতেও চায় না। তারা আবাহনীতে থাকতে চায়। অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আমি যখন আবাহনীর জন্য কাজ করি, তখন আমিও পেশাদার হয়ে কাজ করি। আমার খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা একটা অনুভূতি আছে। ওদের আমি প্রচণ্ড ভালোবাসি। কিন্তু যখন দলের ব্যাপার আসবে, সেখানে আবাহনী প্রথম।’