১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দেশে ঈদুল ফিতর হতে পারে আগামীকাল বুধবার। না হলে পরদিন বৃহস্পতিবার। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঈদের দিন দেশে ভ্যাপসা গরম থাকবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সকালের দিকে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। ১৪ বা ১৫ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা ও গরম আরো তীব্র রূপ ধারণ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল (আজ) দেশের কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্রা বাড়বে। ঈদের সময় সকালের দিকে গরম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। দুপুর বা বিকেল গড়ালে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
বুধবার সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের পর তা কিছুটা বাড়বে। পরদিন বৃহস্পতিবার দেশের অনেক জায়গায়ই মৃদু তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। এ দুই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
বজলুর রশিদ জানান, ঈদে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে অর্থাৎ রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনার দিকে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। ঢাকাসহ দেশের মধ্যভাগে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত দুই দিন আকাশ মেঘলা থাকায় ও বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা ও গরমের অনুভূতি অনেকটাই কমেছে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আবার ধীরে ধীরে বাড়বে।
তবে তা খুব তীব্র বা অসহনীয় অবস্থা পর্যন্ত যেতে ১৩ বা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজ তা আরো বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়, ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল বুধবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।