বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও যোগাযোগ কার্যক্রম সহজ করতে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ঢাকায় আলাদা ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে চীনা দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বনানীতে প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারে চীনা ভিসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, চীন ভ্রমণে বাংলাদেশি নাগরিকদের আগ্রহ বেড়েছে এ জন্যই ভিসা আবেদন ও সেবা কার্যক্রম সহজ করতে এই ভিসা সেন্টার চালু করা হয়েছে।
চীনা দূতাবাস আরো জানিয়েছে, এ কেন্দ্র চালুর পর সাধারণ পাসপোর্টধারীদের আর দূতাবাসে যেতে হবে না। তবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের দূতাবাসে গিয়েই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে।
ভিসা কেন্দ্র চালুর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব পর্যায়ে এবং সব খাতে নিবিড় যোগাযোগ হচ্ছে। বেশি বেশি বাংলাদেশি চীনে যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং চীনা ভিসা পাওয়ার চাহিদা বাড়ছে।তিনি বলেন, ঢাকার এ কেন্দ্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী চীনা ভিসা কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে ১০৩টি হল। আরো বলেন, লোকবলের স্বল্পতা ও ভিসাপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পরও গত বছর প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার বাংলাদেশি চীনা ভিসার আবেদন করেছেন।
এসময় অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালের ১৫ জুন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ে আসার সুফল পাওয়ার কথাও তুলে ধরেন ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, ভিসা ফর্ম পূরণ, আবেদনের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ জমা এবং অনলাইন সাক্ষাৎকারের মত সুযোগ তৈরির পর ‘উল্লেখযোগ্য’ ফল পাওয়া গেছে। ওই প্রক্রিয়ার কারণেই ১০ মাসের কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৪ হাজার ভিসা ইস্যু করা সম্ভব হয়েছে।
চীন দূতাবাস জানিয়েছে, নির্ধারিত ভিসা ফি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস সার্ভিস ফির পাশাপাশি আবেদনের জন্য একটি ফি দিতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত জানা যাবে ভিসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে (visaforchina.cn)।
ছুটির দিন ছাড়া ভিসা কেন্দ্র খোলা থাকবে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার। আবেদন জমা এবং ফি জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা।
সাধারণ পাসপোর্টধারীদের চীনের ভিসার জন্য শুরুতে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে ভিসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে লগ-ইন করতে হবে। পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য যেতে হবে ভিসা কেন্দ্রে ।