পুলিশের সাবেক মহাপদির্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবেদন ২ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদেনের শুনানি শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গতকাল সোমবার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম। লিখিত ঐ আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চান সুমন। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। দুইদিন পর ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ হয় একই দৈনিকে। সাবেক আইজিপিকে নিয়ে এমন খবর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও নিশ্চুপ ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকসহ সংশ্লিষ্টরা।