লিটন-শান্ত বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব ও তামিম। আগের ম্যাচে অল্পের জন্য ফিফটি মিস করা তামিম এই ম্যাচে ৪৮তম ফিফটির দেখা পেয়ে যান। কিন্তু ঠিক এরপরই ক্যারিবীয় পেসার রেইফারের বলে লুজ শট খেলে উইকেটরক্ষক জশুয়া সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। বিদায়ের আগে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ বলে ৫০ রান। ৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।
তামিম বিদায় নিলেও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সহজেই বাকি পথ পাড়ি দেন সাকিব। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪৩ রান। ইনিংসটি খেলার পথে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৫০০ রান এবং ১০০ উইকেটের অনন্য কীর্তি গড়েন সাকিব। এক ভেন্যুতে এমন রেকর্ড সত্যিই অবিশ্বাস্য। অন্যদিকে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
এর আগে সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা উইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৪৮ রানে। মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত দলীয় তিন অঙ্ক পেরোনো রান পেয়েছে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে। নয়ত শুরু থেকে বাংলাদেশের দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান যেভাবে ছোবল দেওয়া শুরু করেছিলেন তাতে শ’য়ের ঘরে পৌঁছানোর আগে গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্যারিবিয়ানদের।
মাত্র ৮৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছিল উইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দেন দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রভমেন পাওয়েল (৪১) ও আলঝেরি জোসেফের (১৭) দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রানের জুটি। তবে শেষ পর্যন্ত উইন্ডিজ থামে ৪৩.৪ ওভারে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দেড়শ’র নিচে অলআউট করল টাইগাররা।
এই ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০তম ডিসমিসালের মালিক হয়েছেন মুশফিক।
৯.৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। বাকি উইকেট হাসান মাহমুদের।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আত/২৩ জানুয়ারি’২০২১