দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি রফিকুল আমীন এখন কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আছেন। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করে ‘নতুন এমএলএম ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা’ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এনবি নিউজকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিআইজি তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“কমিটি গঠনের পাশাপাশি হাসপাতালে যে সব কারারক্ষীরা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের সরিয়ে অন্য সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেসব কারারক্ষীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই মাস আগে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিজন সেলে ভর্তি হন রফিকুল আমীন। কিন্তু সেখানে থেকেই তিনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এখন অভিযোগ উঠেছে।
বলা হচ্ছে, সম্প্রতি এক জুম মিটিংয়ে রফিকুল আমীন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক দিক নির্দেশনা দেন এবং দেশের বাইরে থেকে টাকা আনার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। ডেসটিনির কয়েকজন কর্মকর্তাও সেখানে যুক্ত ছিলেন।
কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, “কোনো কারাবন্দির অনুমতি ছাড়া বাইরে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। কীভাবে তিনি মোবাইল জোগাড় করে কথা বললেন তা খতিয়ে দেখতেই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান এনবি নিউজকে বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার পর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাল শনিবার কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ”
তিনি বলেন, কবে সেই জুম মিটিং হয়েছে, তা এখনও তারা জানেন না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড নামে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি দিয়ে ২০০০ সালে ডেসটিনি গ্রুপের যাত্রা শুরু। এক দশকের মধ্যে বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খুলে বসে এই গ্রুপ।
কিন্তু মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের নামে ২০ লাখের বেশি মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে মামলা হলে ওই বছরের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন রফিকুল আমীনসহ কোম্পানির অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা, বাকিরা লাপাত্তা হয়ে যান।