বাংলাদেশের কেনা টিকার পরবর্তী চালান কবে আসবে, সেই প্রশ্ন সাংবাদিকরা বিক্রম দোরাইস্বামীর সামনে রেখেছিলেন।
উত্তরে তিনি বলেন, “টিকা সরবরাহের অবস্থা কী- সেটি জানার জন্যই ভারতে যাচ্ছি। যদি ভারতে যোগান বেড়ে থাকে- তাহলে বাংলাদেশে পাঠানোর আশা কতটুকু- আমি গিয়ে সেটি জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার। যদি টিকার যোগান বাড়ে, তাহলেই এটি সম্ভব হবে।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়।
কিন্তু দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা প্রথম ডোজে কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাই কমিশনার বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ মহামারীর কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
“বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে, ভারতেরও রপ্তানি বেড়েছে। এটা সবার জন্যই ভালো।”
আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান চেকপোস্টে হাই কমিশনারকে স্বাগত জানান।