অবশ্য গত বছরের মতো এ বছর চামড়া নষ্ট হয়নি। আড়ত পর্যায়ে গত বছরের চেয়ে এবার একটু বাড়তি দামও দেখা যায়। ঢাকায় চামড়ার পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র পুরান ঢাকার পোস্তায় মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর তাঁরা প্রতিটি চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি পেয়েছেন। যদিও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে।
চট্টগ্রামে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ চলছে, সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষও মনে করেন, এবার দামের ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দু–একটি জেলা থেকে কম দামে বিক্রির অভিযোগ এসেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ঈদুল আজহার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বছর ঢাকার ক্ষেত্রে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এ দর গত বছরের চেয়ে বর্গফুটপ্রতি ৫ টাকা বেশি। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা ও বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণত মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়ার আকার হয় ২৫ বর্গফুটের মতো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, তাতে এই আকারের একটি লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। ঢাকার বাইরে দাম হওয়ার কথা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। একটি গরুর চামড়া সংরক্ষণে এবার লবণের পেছনে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো ব্যয় হচ্ছে।
বরিশালে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে পাইকারদের আগ্রহ নেই
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ মানুষ চামড়ার ভালো দাম না পাওয়ার কারণ ক্রেতা না থাকা। একাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনতে চাইলে বিক্রেতা বাড়তি দাম চাওয়ার সুযোগ পান। এবারও যেহেতু মাঠপর্যায়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীর সংখ্যা একেবারেই কম ছিল, সেহেতু বিক্রেতা দাম চাওয়ার সুযোগ পাননি।
লাখ টাকার গরুর চামড়া ১০০ টাকা
ছাগলের চামড়ার দাম ছিল না বললেই চলে। কোরবানিদাতারা ছাগলের চামড়া বিনা মূল্যেই দিয়ে দেন। সেগুলো বিক্রি করতে গিয়ে সামান্য দাম পাওয়া যায়। রাজধানী একটি মাদ্রাসার শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক , ১৮টি ছাগলের চামড়ার দাম হিসেবে তাঁর হাতে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে প্রতিটি চামড়ার দাম পড়েছে ১১ টাকা।